ইতিহাস

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

মোঃ শফিকুল ইসলাম

প্রধান শিক্ষক

তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়

 তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রকৃতপক্ষে ১৯১৮ খ্রিঃ L.P. স্কুল নামে যাত্রা শুরু করে এবং ১৯২০ খ্রিঃ এম.ই. স্কুল নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯২০ খ্রিঃ ১৯ ফেব্রুয়ারী নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার তৎকালীন সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। তাuর পরিদর্শন বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেন, “The history of the recently started M.E. School at Taragunia is a history of gradual growth and development.” এ থেকে অনুমান করা যায় যে তখন থেকে ক্রমাগত বিদ্যালয়টি উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। তখন বিদ্যালয়টি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান চালু ছিল। এই অঞ্চলটি তখনকার সময় হিন্দু প্রধান হওয়ায় হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি ছিল এবং তারা শিক্ষা-দীক্ষায়ও এগিয়েছিল। তারপর অনেক চরাই-উৎরাই পেরিয়ে হাটি-হাটি পা-পা করে মাত্র 3 (তিন) জন ছাত্র নিয়ে ১৯২১ খ্রিঃ বিদ্যালয়টি ৬ষ্ঠ শ্রেণীর পাঠদান কাh©ক্রম চালু করে । 1921 খ্রিঃ তৎকালীন নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক যখন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে তখন প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের চাকুরীকাল (Length of service) 13 বছর বলে উল্লেখ করেন। তাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকাল  1908 খ্রিস্টাব্দে কিংবা তারও পূর্বে। 14 ফেব্রুয়ারী 1939 খ্রিঃ নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক যখন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে, তখন বিশ্বনন্দিত বিচারপতি ডঃ রাধা বিনোদ পাল, এম. এল. দশ সদস্য বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তারপর ১৯৫৪ খ্রিঃ পর্যন্ত কখনো প্রাইমারী স্কুল কখনোবা এম.ই. স্কুল নামে বিদ্যালয়টি ইহার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। ১৯৫৫ খ্রিঃ জনাব এ.কে. মোহাম্মদ হোসেন I.Sc. (Plucked) প্রধান শিক্ষক ও জনাব মোঃ আবুল হোসেন Matriculate, 2nd Master হিসেবে নিয়োগ পেয়ে পুনরায় এম.ই. স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৫৯ খ্রিঃ জনাব এ.কে. মোহাম্মদ হোসেন চলে গেলেও তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছিলেন না। তখন জনাব মোঃ আবুল হোসেন পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যান এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৯ খ্রিঃ জনাব মোঃ নাজমুল হক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহন করলে জনাব এ.কে. মোহাম্মদ আলী পূর্ববর্তী প্রধান শিক্ষক ডি.ডি.পি.আই. খুলনা অঞ্চল, বরিশাল ও যশোর বোর্ডে অভিযোগ দায়ের করেন। ২৭-০৪-১৯৬০ খ্রিঃ  কুষ্টিয়া জেলার তৎকালীন জেলা শিক্ষা পরিদর্শক জনাব মাহফুজুর রহমান বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। তখন বিদ্যালয়টি জুনিয়ার হাইস্কুল হিসেবে পাঠদান কাh©ক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলো  । তার পরিদর্শন কালে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল নিন্মরূপঃ

ক্রমিক নং শ্রেণী মোট ছাত্র-ছাত্রী
1 ৮ম 25
2 ৭ম 25
3 ৬ষ্ঠ 26
4 ৫ম 21
5 ৪র্থ 12
6 ৩য় 24
7 ২য় 48
8 ১ম 33
মোট= 214 জন

১৯৫৯ খ্রিঃ জনাব এ.কে. মোহাম্মদ হোসেন (প্রধান শিক্ষক) চলে গেলেও তিনি পদত্যাগ না করে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ২৭/০৫/১৯৬২ ‍খ্রিঃ তৎকালীন এস.ডি.ই.ও. কুষ্টিয়া সদর, জনাব এ.কে. মোহাম্মদ হোসেনের উপস্থিতিতে উক্ত অভিযোগ তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে জনাব এ.কে. মোহাম্মদ হোসেন (প্রধান শিক্ষক) তার আনীত অভিযোগ লিখিতভাবে প্রত্যাহার করে প্রধান শিক্ষকের পদ হতে পদত্যাগ করলে উক্ত পদটি আইনগতভাবে শূণ¨ হয়। অতঃপর জনাব মোঃ আবুল হোসেন কিছুদিন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

৮/02/1966 খ্রিঃ বিদ্যালয়টি জুনিয়ার হাইস্কুল হিসেবে যশোর বোর্ডে পাঠদান কার্যক্রম চালু করার জন্য আবেদন করে এবং উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে 15/05/1966 খ্রিঃ তারিখে বিদ্যালয়টি “তারাগুনিয়া জুনিয়র হাইস্কুল” নামে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, যশোর হতে পাঠদানের অনুমতি লাভ করে। ১৯৬৬ খ্রিঃ যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুদক্ষ পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার ফলে বিদ্যালয়টি দুর্বার গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলে তাদের কথা না বললেই নয়। তারা হলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ অত্র বিদ্যালয়ের সুদক্ষ প্রধান শিক্ষক ও আলোর ফেরিওয়ালা (1) জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন, বি.এ. বি. এড. (২) জনাব মোঃ রফিজ উদ্দিন, আই.এসসি. (3) জনাব মোঃ আমিনুল হক, ম্যাট্রিকুলেট (৪) জনাব মৌলভী মোঃ রায়হানুল হক, (এফ.এম.) এইচ. এম. (দেওবন্দ, ভারত) ।

তখন ছাত্র-ছাত্রী ছিল নিন্মরূপঃ

ক্রমিক নং শ্রেণী মোট ছাত্র-ছাত্রী
1 ৮ম 23
2 ৭ম 27
3 ৬ষ্ঠ 35
মোট= 85 জন

১৯৭০ খ্রিঃ বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক স্তরে পাঠদানের কার্যক্রম চালু করে  এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর এর অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। 01/01/1971 খ্রিঃ তারিখে স্মারক নং-4/1642, তারিখ- 09/06/1972 খ্রিঃ মাধ্যমিক স্তরে পাঠদানের অনুমতি লাভ করে এবং 01/01/1974 খ্রিঃ তারিখে স্মারক-4/2171, তারিখ-20/08/1974 খ্রিঃ বিজ্ঞান শাখা অনুমোদন লাভ করলে বিদ্যালয়টিকে আর পিছু ফিরতে হয়নি । 1973 সালে তৎকালীন থানা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মরহুম আলতাফ হোসেন (শিক্ষক) এর প্রচেষ্টায় ও আজীবন দাতা সদস্য জনাব আফাজ উদ্দিন আহমেদ (সাবেক এম.পি.) মহোদয়ের সহযোগিতায় ইউনিসেফ কর্তৃক তিন (3) কক্ষবিশিষ্ট একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করা হয়। 1994 ও 2003 খ্রিঃ মরহুম আহসানুল হক মোল্লা সাবেক (সাবেক প্রতিমন্ত্রী) মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় “ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট” কতৃক পূর্বদিকে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয় যা তখন বিদ্যালয়ের জন্য অপরিহার্য ছিল। এ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করার জন্য জয়রামপুর, চরদিয়াড়, মাজদিয়াড়, বৈরাগীরচর, বাহিরমাদি, হোসেনাবাদ, বেজপুর, দৌলতখালী, শশীধরপুর, বেগুনবাড়ীয়া, গঙ্গারামপুর, ফারাকপুর ও হিসনাপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই বিদ্যালয়ে বিদ্যা অর্জনের জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রীর মিলনমেলায় পরিণত হয় । বিজ্ঞান শাখা অনুমোদনের পর দুর-দুরান্ত থেকে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করার জন্য অনেক উৎসাহী ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ভিড় জমাতো। অনেক জ্ঞানী-গুণীর সূতিকাগার এই বিদ্যালয়টি আজও আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে অবিরত। এই বিদ্যালয়ের অত্যন্ত ঈর্ষণীয় ফলাফলের জন্য কুষ্টিয়া জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এই বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-ছাত্রী দেশ-বিদেশে সচিব , শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সম্মানজনক পেশায় সুনামের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

দৌলপুর উপজেলায় প্রথম জিপিএ-৫ এই বিদ্যালয়ের ছাত্ররাই লাভে গৌরব অর্জন করে।

খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও স্কাউটিংয়ে এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সুনাম রয়েছে। এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ফুটবল, ক্রিকেট ও স্কাউটিংয়ে জেলা ও বিভাগীয়  পর্যায়ে তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। তাছাড়া গার্লস ইন স্কাউটিংয়ে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও পিছিয়ে নেই। তারপরও বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে 2009 ও 2010 খ্রিঃ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সংখ্যা আশংকাজনক হারে হ্রাস পেতে থাকে 2011 খ্রিঃ ছাত্র-ছাত্রীর সর্বমোট সংখ্যা ছিল 637 জন (সূত্র- শিক্ষা মন্ত্রনালয় এর পরিদর্শন রিপোর্ট -2011 খ্রিঃ) । একযোগে 5 জন জ্ঞানী, মেধাবী ও চৌকশ শিক্ষক অবসর গ্রহন করলে বিদ্যালয়ের এরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় 13/01/2011 খ্রিঃ তারিখে আমি প্রধান শিক্ষকের পবিত্র দায়িত্বভার গ্রহন করি।  দায়িত্ব গ্রহন করার পর নবীন ও পরিশ্রমী শিক্ষকবৃন্দ ও ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সভাপতি আরিফ আহমেদ বিশ্বাস ও সদস্যগণের আন্তরিক সহযোগিতায় এহেন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চেষ্টা করি। 2011 খ্রিঃ বিদ্যালয়টি কারিগরি শাখায় (Vocational)  ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা হতে পাঠদানের অনুমতি লাভ করে। 2011 এস.এস.সি. পরীক্ষায় উত্তম ফলাফলের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপ হতে 40,000/= (চল্লিশ হাজার) টাকা উদ্দীপনা পুরস্কার লাভ করে। 2016 খ্রিঃ পরপর 3 (তিন) বছর 2013,2014,2015 খ্রিঃ উত্তম ফলাফলের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপ হতে 1,00,000/= (এক লক্ষ) টাকা উদ্দীপনা লাভ করে বিদ্যালয়ের সুনাম বুদ্ধি করে।

অত্র বিদ্যালয়ে আমি গত 13/01/2011 খ্রিঃ তারিখে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহন করি। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আমি পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে পালনের চেষ্টা করে আসছি। আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, সুদক্ষ শিক্ষকমন্ডলী ও বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য তৎকালীন সংসদ সদস্য 75-কুষ্টিয়া-1 জনাব আফাজ উদ্দিন আহমেদ মহোদয়ের একান্ত সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের মূল ফটক, মসজিদগেট, পুরা সীমানা প্রাচীর, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক পৃথক শৌচাগার নির্মাণ করতে সক্ষম হই। পুরাতন পরিত্যাক্ত জরাজীর্ণ ভবনের স্থানে জনাব আফাজ উদ্দিন আহমেদ (এম.পি.) মহোদয়ের একান্ত প্রচেষ্টায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বরাদ্দকৃত একটি 4 (চার) তলা ভীতবিশিষ্ট 1 (এক) তলা ভবন নির্মার্ণ করা সম্ভব হয়। অতঃপর 2014 খ্রিঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাহত হয়। এমতাবস্থায়, নিজ প্রচেষ্টা ও অনুজপ্রতিম আলহাজ্ব সরদার আতিয়ার রহমান (আতিক) এর সহযোগিতায় উক্ত ভবনের ২য় ও ৩য় তলার উর্ধমুখী সম্প্রসারণে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সরকারি বরাদ্দ পাওয়া সম্ভব হয়। তৎকালীন সভাপতি জনাব শামীমুল হক পাভেল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া মহোদয় ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জনাব মোঃ ওহিদুল ইসলাম সরদার, জনাব আবু সাইদ মোঃ আজমল হোসেন (শিক্ষানুরাগী সদস্য), অভিভাবক সদস্য জনাব মখলেছুর রহমান ভোট, জনাব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম (তৌহিদ), জনাব টিপু সুলতান ও জনাব মাহবুবুর রহমান (সবুর) এর তত্ত্বাবধায়নে বিদ্যালয় ভবনের বারান্দার গাথুনি, গ্রিল ও কলাপ্সেবল গেট নির্মাণ করা সম্ভব হয়। তারাগুনিয়া ফুটবল মাঠের মধ্যে .53 শতক ব্যাক্তিগত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যে বিরোধ ছিল তা মিটিয়ে উক্ত জমি বিদ্যালয়ের নামে ক্রয় করে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নিষ্কন্টক করা হয়। 2015 খ্রিঃ তৎকালীন সভাপতি জনাব মোঃ তৌফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় এবং জনাব ফিরোজ আল মামুন, সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ছাত্রদের সাইকেল গ্যারেজ, মসজিদ সংলগ্ন সীমানা প্রাচীর, গ্রিল এবং পানি ও পয়ো:নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন করা সম্ভব হয়। বর্তমান সভাপতি জনাব মোঃ ওহিদুল ইসলাম সরদার মহোদয় দায়িত্ব গ্রহনের পর ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সদস্যগণের সহযোগিতায় ও রাজু সরদারের তত্ত্বাধায়নে বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে আর.সি.সি. ঢালাই রাস্তা তৈরিকরণ, কাঁটাতারের বেড়া, ওয়াকওয়ে ও পুরাতন ভবন সংস্কার এবং রং করে বিদ্যালয়ে শিখনবান্ধব পরিবেশ তৈরী করেন। তাছাড়া বর্তমান সভাপতি ও সম্মানিত সদস্যগনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ে সি.সি. ক্যামেরা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। জনাব আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ মাননীয় সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদ 75-কুষ্টিয়া-1 মহোদয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ স্থাপিত হয়েছে এবং  শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কতৃক 87,00,000/= (সাতাশি লক্ষ) টাকা ব্যয়ে 4 (চার) তলা ভীতবিশিষ্ট একটি ১ (এক) তলা ভবন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।  উক্ত ভবন নির্মানের জন্য বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে গত ডিসেম্বর 2020 খ্রিঃ বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে 5,00,000/= (পাঁচ লক্ষ) ব্যয়ে .05 (দশমিক শূণ্য পাঁচ) শতক জমি ক্রয় ও রেজিষ্ট্রি করা হয়।

শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান সর্বোৎকৃষ্ট ও স্মরণীয় অবদান যা কখনো বৃথা যায় না। পশ্চাৎপদ এই জনপদে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য যে কোন ফাউন্ডেশন বা ট্রাস্ট চালু হওয়া বাঞ্চনীয়। মেধাবী ও দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সাহায্যার্থে কোন সামর্থ্যবান সাবেক ছাত্র-ছাত্রী বা কোন হৃদয়বান ব্যক্তি এগিয়ে এলে আমি সেটিকে সানন্দে স্বাগত জানাবো ।