প্রধান শিক্ষকের বাণী

আজ হতে শতবর্ষ আগে, ইংরেজ মুলুকে অত্যন্ত পশ্চাদপদ হিন্দু প্রভাবিত প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলে প্রতিকূল পরিবেশে জ্ঞানের আলোকবর্তিকা প্রজ্জ্বলনে যে সকল মহীরুহ, জ্ঞানপিপাসু, মানবহিতৈষী, শিক্ষানুরাগী ও পূণ্যাত্মা ব্যক্তিগণের অক্লান্ত পরিশ্রম, দুর্দমনীয় উদ্যম ও প্রাণান্ত প্রচেষ্টায় 1920 খ্রিঃ “তারাগুনিয়া এম.ই. স্কুল” ও  1970 খ্রিঃ “ তারাগুনিয়া মধ্যমিক বিদ্যালয়” যাত্রা শুরু করেছিল তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আমার অনুভূতি ও অভিব্যক্তি প্রকাশ করছি।

যার জন্ম আছে, তার মৃত্যু অনিবার্য। যা সৃষ্টি হয়েছে, তা একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। এই ধরাতলে কোন কিছুই অবিনশ্বর নয়। তারপরেও মানুষ অতীতকে, পূর্ব-পুরুষকে, ঐতিহ্যকে জানতে চায়, ধারণ ও প্রেরণ করতে চায় উত্তর-পুরুষদের নিকট। এই ধারণ ও প্রেরণ করার বাসনা থেকেই হাজার হাজার বছর আগে থেকে মানুষ লিখতে শুরু করেছিল। প্রথমে পাতা, ছাল, চামড়া, মাটি ও পাথরে লিখে তা রেখে গেছে পুরুষ পরম্পরায়। আধুনিক যুগে কাগজ আবিষ্কারের ফলে এখন তা লিখা হচ্ছে কাগজে। তারাগুনিয়া এম.ই. স্কুলের শতবর্ষ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের 50 বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এই বিদ্যাপীঠেরও রয়েছে এক বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য ইতিহাস যা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছনোর মানসে লিখা হচ্ছে  “হৃদয়পটে” । অগ্রজ ও অনুজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এটা হবে একটা সেতু-বন্ধন। এরই পথ ধরে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে তাদের অতীত, ঐতিহ্য ও পূর্ব প্রজন্মের বন্ধুর পথচলা। শিখবে-জানবে কিভাবে সব প্রতিকুলতা ও  চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। এই সামনে এগিয়ে যেতে এ প্রতিষ্ঠান ও আমাকে যাuরা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন তাuদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আর “বিদ্যালয়ের আদিকথা” এর তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনে আমি যথাসম্ভব নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। তবুও কিছু ভুল-ভ্রান্তি থাকা অবাঞ্ছনীয় নয়। অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য ত্রুটি মার্জনীয়। “হৃদয়পটে লেখা” এর প্রকাশনায় যারা সময় ও শ্রম দিয়ে সম্পাদনা করে এর প্রকাশনার কাজকে ত্বরান্বিত করেছেন তাদেরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করছি।